১৫২৫ টাকা কেজি দরে ভারতে পাঠানো হলো ইলিশ

প্রকাশিত: ১২:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫

১৫২৫ টাকা কেজি দরে ভারতে পাঠানো হলো ইলিশ

আসন্ন দুর্গাপূজাকে ঘিরে এ বছর ১২০০ টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে ৩৭ প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে ইলিশ রপ্তানি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। প্রথম চালানে বেনাপোল দিয়ে প্রায় সাড়ে ৩৭ টন অর্থাৎ ৩৭ হাজার ৪৬০ কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা সজিব সাহা জানান, মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত দেড়টার দিকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে এসব ইলিশ রপ্তানি করে ছয়টি প্রতিষ্ঠান। প্রথম চালানে ভারতে ৩৭ টন ৪৬০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। মান পরীক্ষা করে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি ছিল ২ হাজার ৪২০ টন। বেনাপোল বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৫৩২ টন।

আগে ইলিশ সাধারণ রপ্তানি পণ্যের তালিকায় উন্মুক্ত থাকলেও উৎপাদন সংকট দেখিয়ে ২০১২ সালে দেশের বাইরে রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ২০১৯ সাল থেকে বিশেষ বিবেচনায় কেবল দুর্গাপূজায় ইলিশ রপ্তানির সুযোগ মেলে।

রপ্তানিকারকরা জানান, প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ছিল ১২ ডলার ৫০ সেন্ট। যা বাংলাদেশি ১৫২৫ টাকা।

এবছরও ব্যবসায়ীরা দুর্গাপূজাকে ঘিরে ইলিশ রপ্তানির অনুরোধ জানান অন্তর্বর্তী সরকারকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ৩৭ প্রতিষ্ঠানকে ১২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। ৫ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানির শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সততা ফিশ, স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, বিশ্বাস ট্রেডার্স ও লাকী ট্রেডিং প্রথম চালানে ৩৭ টন ৪৬০ কেজি ইলিশ রপ্তানি করেছে।

অপর দিকে ভারতের কলকাতার পাঁচটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ট্রেডিং, এফএনএস ফিশ, জয় শান্তসী, মা ইন্টারন্যাশনাল ও আর জে ইন্টারন্যাশনাল প্রথম চালানের এসব ইলিশ আমদানি করেছে।

ইলিশ রপ্তানিকারক সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছেন। ইলিশ রপ্তানি সামনের দিনে দুদেশের বাণিজ্য জোরদার হবে।

সাধারণ ক্রেতা রহমত জানান, একমাস আগেও দেশের বাজারে প্রতিকেজি ইলিশের দাম ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা হলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকায়। ভারতে যাচ্ছে ১৫০০ টাকা দরে আর দেশের মানুষ কিনতে গেলে বেশি।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শমীম হোসেন বলেন, আজকের ইলিশ রপ্তানি বাংলাদেশের মৎস্য খাতের জন্য একটি বড় সাফল্য। আমরা নিশ্চিত করেছি, মাছগুলো নিরাপদ ও মানসম্মতভাবে ভারতে পৌঁছেছে। এই রপ্তানি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং মৎস্য খাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।